১৯৩১ সালের মাঝামাঝি সময়ে হবিগঞ্জ শহরে বৃন্দাবন কলেজ প্রতিষ্টা হলে তখন কেবল মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক বিভাগ চালু হয়। ১৯৩৯ -৪০ শিক্ষাবর্ষে বিএ(পাস) এবং ১৯৪০-৪১ শিক্ষাবর্ষে ইংরেজী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং দর্শন বিভাগে অনার্স কোর্স চালু হয়। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ অনার্স কোর্স বন্ধ করে দিলে ও ১৯৪৯-৫০ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বাণিজ্য বিভাগ এবং ১৯৬৯-৭০ শিক্ষাবর্ষে বি এসসি(পাস) কোর্স চালু হয়। ১৯৭৯ সালে কলেজটি জাতীয়করণ হলে পূর্ণাংগ ডিগ্রী কলেজ হিসাবে পাঠদান অব্যাহত থাকে। ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে তৎকালীন সরকার অনার্স কোর্স চালু করেন। বর্তমানে বৃন্দাবন সরকারী কলেজে বাংলা, ইংরেজী, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণি বিদ্যা, গণিত, হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। ২০০৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাববিজ্ঞান, এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে।
সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং পুরোনো এই শিক্ষা প্রতিষ্টানের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৩১ সালের মাঝামাঝি সময়ে হবিগঞ্জকলেজ নাম নিয়ে। কলকাতার রিপন কলেজের দর্শনের অধ্যাপক মিঃ বিপিন বিহারী দে প্রথম অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন। তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজটি প্রতিষ্টার বছরখানেকের মধ্যেই আর্থিক সমস্যার কারণে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং থানার বিথঙ্গল গ্রামের দানশীল ব্যবসায়ী বাবু বৃন্দাবন চন্দ্র দাস এককালীন দশ হাজার টাকা দান করেন। কলেজের পরিচালনা কমিটি তাঁর নামানুসারে নাম রাখেন বৃন্দাবন কলেজ। ব্রিটিশ শাসনামলে শুরু হওয়া কলেজটি প্রথমে কেবলমাত্র উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক বিভাগে পাঠদান করলেও ১৯৩৯-৪০ শিক্ষাবর্ষে বিএ(পাস) এবং ১৯৪০-৪১ শিক্ষাবর্ষে কয়েকটি বিষয়ে বিএ(অনার্স) কোর্স চালু করে। ১৯৭৯ সালের ৭ মে, তৎকালীন সরকার কলেজটি জাতীয়করণ করেন এবং নাম হয় বৃন্দাবন সরকারী কলেজ। ১৯৯৮ সালে কলেজটি অনার্স কোর্স পাঠদানের পুনঃঅনুমতি পায়। বর্তমানে বৃন্দাবন সরকারী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল বিভাগ, স্নাতক (পাস), বাংলা, ইংরেজী, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণি বিদ্যা, গণিত, হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। ২০০৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাববিজ্ঞান, এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে। |
উচ্চ মাধ্যমিক- একাদশ=৯৫০জন, দ্বাদশ=৯১৫জন, স্নাতক(পাস)- ১ম বর্ষ=৭২১জন, দ্বিতীয় বর্ষ=১২৯০জন(দুই ব্যাচ), তৃতীয় বর্ষ=৬৫০জন, স্নাতক (সম্মান)১ম বর্ষ=১০১০জন, ১ম বর্ষ(পুরাতন)=৮৭৬জন, ২য় বর্ষ=৭৮০জন, ৩য় বর্ষ=৬৪৩জন, ৪র্থ বর্ষ=৫৭২জন(প্রায়)।
সরকারী কলেজে প্রযোজ্য নয়। |
২০১১ সালে ১০০৬ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৭৮৭ জন উত্তীর্ন হয়, এর মধ্যে ৪৯জন জি পি এ ৫ পেয়েছে।
২০০৯ সালের(অনুষ্টিত ২০১১) স্নাতক (পাস) পরীক্ষায় ১৩৫১ জন অংশগ্রহন করে ১১৮৮ জন উত্তীর্ন হয়, পাশের হার ৮৮%।
২০০৯ সালের (অনুষ্টিত ২০১১) অনার্স চুড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় ৩০৩ জন অংশ গ্রহন করে যার ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। ২০০৮ সালের (অনুষ্টিত ২০১০) অনার্স চুড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় ৩২০ জন অংশ গ্রহন করে ২৪৮ জন উত্তীর্ন হয়।
বোর্ড মেধা বৃত্তি, মেয়েদের জন্য উপবৃত্তি, জেলা পরিষদ বৃত্তি, আলোর সন্ধানে মেধা বৃত্তি। প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী এসব মেধা বৃত্তি পেয়ে থাকে।
২০০২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ট কলেজের মর্যাদা লাভ করে। ২০১১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে নবম স্থান অর্জন করে।
প্রতিটি বিষয়ে মাষ্টার্স কোর্স চালু করা, পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ ও আলাদা পরীক্ষা হল নির্মাণ, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক সমস্যা সমাধানে আরো আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিষয় ভিত্তিক বিজ্ঞান-গবেষণাগার নির্মাণ, শিক্ষক সংকট দূরীকরণে নতুন পদের সৃষ্টি করা এবং মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ শ্রেণীকক্ষ তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে।
ফোনঃ ০৮৩১-৫৩১১২, ০৮৩১-৬২৩২১, ফ্যাক্সঃ ৬২৩২১, ইমেইলঃ brindabangovt.college@yahoo.com
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস