গ্রাম- ডেউয়াতলী, ডাকঘর- পঞ্চাশ, ৫নং শানখলা ইউপি, ওয়ার্ড নং- ০৪, উপজেলা- চুনারুঘাট, জেলা- হবিগঞ্জ।
:প্রতিষ্টাতার ইতিহাস অত্র বিদ্যালয়ের একমাত্র দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা জনাব, এডভোকেট মো: ছাদেকুর রহমান (ছাদেক) পিতা-মৃত- হাজী তালিব হুসেন, গ্রাম- ডেউয়াতলী, ডাক-পঞ্চশ, উপজেলা চুনারুঘাট, জেলা- হবিগঞ্জ।
(ক) প্রতিষ্ঠাতার জমি দান ১৫৮.৫০ শতক (দুই দলিলে)।
(খ) প্রতিষ্ঠাতার আর্থিক অনুদান প্রদান ৮ লক্ষ টাকা প্রায়। প্রতিষ্ঠাতা একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। তিনি এস এস সি পাশ করার পর পিতা মারা যান অতিকষ্টে পাহাড়ীয় ও প্রত্যন্ত যোগাযোগ বিছিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার কথা ভাবতেন। ইতিমধ্যে পাশ্ববর্তী জনবহুল কালিনগর গ্রামে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ডেউয়াতলী গ্রামের হাজী আব্দুর রশিদ সাহেবের নিকট থেকে ৪০ শতক জমি গ্রহণ করেন। তথায় দাতা হাজী আব্দুর রশিদের নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ভারগ্রহণ করে নিজের যাবতীয় অর্থব্যয় করে অত্র বিদ্যালয় প্রতিষ্টা করেন। দু:খ জনক হলেও সত্য অত্র এলাকায় ৫ কি:মি এর মধ্যে কোন উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে অধিকাংশ ছেলে মেয়ে লেখাপড়াছেড়ে দিত। বিশেষকরে মেয়েরা মোটেই দুরবর্তী শানখলা ও শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে যেত না। ইতিমধ্যে অত্র এলাকায় ডেউয়াতলী নোয়াগাঁও গ্রামে দুই বার দুটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলেও ২/৩ বছর বেসরকারী ভাবে পরিচালিত হলেও শেষ পর্যন্ত স্থানীয় অধিবাসীদের অসহযোগীতার কারণে ধ্বংস হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠাতা সামান্য দিনের মধ্যে কালিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে এক চমক প্রদ সৃষ্টি করলে এলাকা বাসীর মধ্যে আবারোও একটি নতুন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের স্পৃহা সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী স্থানীয় ডেউয়াতলী বাজারে এক সভা আহব্বান করে ১টি বিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য সিধান্ত গ্রহণ করেন এবং এই বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মো: ছাদেকুর রহমান ছাদেক সাহেবকে জমি দান করার প্রস্তাব করিলে তিনি ১০০ শতক জমি দান সহ বিদ্যালয় তহবিলে নগদ ৫০,০০০/ পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের কথা ঘোষনা করেন। তৎপরবর্তীতে এলাকা বাসীর সার্বিক আর্থিক সাহায্যের বিদ্যালয়ের গৃহ নির্মাণ সহ অন্যান্য কাজকর্ম পরিচালনার কথা থাকলেও স্থানীয় জনগণ আর্থিক ভাবে তেমন কোন সহযোগীতা না করায় পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতার পৈত্তিক চারএকর জমি বিক্রি করে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে বিদ্যালয়ে ২টি গৃহ জমি রেজিষ্ট্রেরী স্কুলের ফান্ড, আসবাব পত্র শিক্ষক কর্মচারীর বেতন সহ অন্যান্য যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাতা করেন। কথায় আছে মরিয়া যেন ভিক্ষা দান পৈত্তিক বন্ঠনে প্রতিষ্ঠাতা যা পান তা প্রায় ৭৫% এই প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করেন। কিন্তু কথা হলো প্রতিষ্ঠাতা মা, ভাই বোনদের কে নিয়ে একত্রে বসবাস করায় মোটামুটি চলতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটিতে এলাকাবাসী সার্বিক সহযোগীতার কথা থাকলেও পরবর্তীতে কিছূ সংখ্যক মানুষ ব্যক্তি গত স্বার্থের কারণে বিদ্যালয়ের বিভিন্নকাজে বিরোধীতা করে আসছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এই সাদা মনের মানুষটি সর্বশক্তি দিয়ে স্থানীয় মহিউদ্দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলীকে নিয়ে এই বিদ্যাপীঠের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করেন। আজকে এই পাহাড়ীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠে রুপান্তর করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ১০০ ভাগ শিক্ষার্থী এস এস সি পাশ করে, ৩টি সেমি পাকা ভবণ রইয়াছে, হাই স্কুলে বেতন ভুক্ত না হলেও এস, এস, সি পাশের হার শতভাগ, এই সাদা মনের মানুষটি অত্যন্ত পরিশ্রমী একটি রেজি : বে: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী কালীন এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতা প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে বি, এড, এল, এল বি ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে আইনজীবি হিসেবে হবিগঞ্জ জর্জ কোর্টে কর্মরত। প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠাতার নির্দেশে অদ্যবধি পর্যন্ত ঋঁষষ ঋৎবব ঝঃঁফবহঃংযরঢ় চালু রইয়াছে এবং প্রতিষ্টাতার অছিয়ত হলো কোন দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রী যদি অত্র বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে কমিটির নিকট সহযোগীতা চায় যেটুকু পারা যায় তাহা করবেন। কিন্তু শূণ্যহাতে ফিরিয়ে না দিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করিয়া দিবেন। প্রতিষ্ঠাতার অবর্তমানে এই বিদ্যালয়টির পরবর্তী প্রজন্ম সুন্দর ভাবে পরিচালনা করবেন যেন মৃত্যুর পর আত্মায়‘ শান্তি পায়। আর যদি সম্ভব হয় সর্বশেষ আশ্রয়স্থল এই প্রতিষ্ঠানের বুকে একটু জায়গা দিও। সকল শিক্ষাথী সু-শিক্ষাই শিক্ষিত হবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সমাপ্ত করছি। আল্লাহ হাফেজ।
৬ষ্ট শ্রেণী ছাত্র- ৫৪ জন, ছাত্রী- ৬৬ জন, মোট= ১২০ জন।
৭ম শ্রেণী ছাত্র- ৫৫ জন, ছাত্রী- ৮০ জন, মোট= ১৩৫ জন।
৮ম শ্রেণী ছাত্র- ২৩ জন, ছাত্রী- ৩৫ জন, মোট= ৫৮ জন।
৯ম শ্রেণী ছাত্র- ২৭ জন, ছাত্রী- ৫৫ জন, মোট= ৮২ জন।
১০ম শ্রেণী ছাত্র- ১৬ জন, ছাত্রী- ৪২ মোট= ৫৮ জন।
সর্বমোট : ছাত্র- ১৭৫, ছাত্রী= ২৭৮ জন, মোট- ৪৫৩ জন।
১। জনাব এডভোকেট মোঃ ছাদেকুর রহমান (ছাদেক), সভাপতি।
২। জনাব মোঃ মহিউদ্দিন আহাম্মদ, সাধারণ শিক্ষক সদস্য।
৩। জনাব মোঃ নূরুল আলম, সাধারণ শিক্ষক সদস্য।
৪। জনাব মোছাঃ রোজিনা বেগম, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য।
৫। জনাব মোঃ আলতাব আলী, সাধারণ অভিভাবক সদস্য।
৬। জনাব মোঃ আঃ গণি, সাধারণ অভিভাবক সদস্য।
৭। জনাব জগদ্বীশ গৌড়, সাধারণ অভিভাবক সদস্য।
৮। জনাব শুকুমার বাউরী সাধারণ অভিভাবক সদস্য।
৯। জনাব মোছাঃ হালিমা খাতুন, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য।
১০। জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম, দাতা সদস্য।
১১। জনাব এডভাকেট আব্দুস শুকুর শাহ আলম, শিক্ষানুরাগী সদস্য।
১২। জনাব মোঃ লুৎফুর রহমান, প্রধান শিক্ষক/ সদস্য সচিব।
১। ২০১০ সালের পাশের হার- ৬৬.৩৩% ।
২। ২০১১ সালের পাশের হার- ৫৯.৪৮%।
২০১০সনেজেএসসিঅংশগ্রহণকারীছাত্র/ছাত্রী- ৪০জন, কৃতকার্য- ০৩জন,
পাশেরহার- ৭.৫%
২০১১সনেজেএসসিঅংশগ্রহণকারীছাত্র/ছাত্রী- ৮৭জন, কৃতকার্য- ৭২জন,
পাশেরহার- ৮২.৭৬%
২০০৭সনএসএসসিঅংশগ্রহণকারীছাত্র-ছাত্রী- ১১জন, কৃতকার্য- ৩জন,
পাশেরহার- ২৭.২৭%
২০০৮সনএসএসসিঅংশগ্রহণকারীছাত্র-ছাত্রী- ১১জন, কৃতকার্য- ৫জন,
পাশেরহার৪৫.৪৫%
২০০৯সনএসএসসিঅংশগ্রহণকারীছাত্র-ছাত্রী- ১৩জন, কৃতকার্য- ১২জন,
পাশেরহার- ৯২.৩০%
২০১০সনএসএসসিঅংশগ্রহণকারীছাত্র-ছাত্রী- ২৭জন, কৃতকার্য- ১৬জন,
পাশেরহার- ৫৯.২৬%।
২০১১সনএসএসসিঅংশগ্রহণকারীছাত্র-ছাত্রী- ৩৭জন, কৃতকার্য- ৩২জন,
পাশেরহার- ৮৬.৩২%=
২০১০সনেএসএসসিপরীক্ষায়সাধারণবৃত্তিপায়০১জন।
-
২০১০সালেএসএসসিপরীক্ষায়জিপিএঅ+ গ্রেডপেয়েছেন০১জন।
ভবিষ্যতেবিদ্যালয়টিকেকলেজশাখায়উন্নতিকরণ, শতভাগপাশকরারপরিকল্পনাসহএশিয়ামহাদেশেরমধ্যেএকটিপ্রতিষ্ঠিতডিজিটালপ্রতিষ্ঠানহিসেবেউন্নতিকরণ।সেজন্যসরকারেরএকান্তসহযোগিতাপ্রয়োজন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস